মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) বাংলার শিক্ষার্থীদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই পরীক্ষা শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, তাদের পরিবারের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় একটি নতুন সুবিধা চালু করা হয়েছে—বিনামূল্যে টোটো পরিষেবা। কিন্তু এই সুবিধা সবার জন্য নয়। তাহলে কারা এই সুবিধা পাবেন? কীভাবে এটি শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বিনামূল্যে টোটো পরিষেবা: কী এই উদ্যোগ?
২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি অনন্য উদ্যোগ নিয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের সুবিধার্থে বিনামূল্যে টোটো পরিষেবা চালু করা হয়েছে। এই পরিষেবা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষার্থীর জন্য প্রযোজ্য। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা।
কারা পাবেন এই সুবিধা?
এই বিনামূল্যে টোটো পরিষেবা শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত ও অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য। বিশেষ করে যাদের বাড়ি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে দূরে এবং যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা নেই, তাদের জন্য এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
একজন শিক্ষা বিভাগের আধিকারিক বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন তাদের পরীক্ষায় সঠিকভাবে উপস্থিত হতে পারে। বিশেষ করে যারা আর্থিক সমস্যার কারণে যাতায়াতের খরচ বহন করতে পারে না, তাদের জন্য এই পরিষেবা একটি বড় সাহায্য।”
কীভাবে কাজ করবে এই পরিষেবা?
এই পরিষেবা পেতে শিক্ষার্থীদের আগে থেকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সময় তাদের আর্থিক অবস্থার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এরপর একটি কমিটি এই আবেদনগুলি যাচাই করে সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করবে।
পরিষেবার সময়সূচি
- পরীক্ষার দিন সকালে: বাড়ি থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র পর্যন্ত যাতায়াত।
- পরীক্ষা শেষে: পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরা।
এই পরিষেবা শুধুমাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলির জন্য প্রযোজ্য হবে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া
এই উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। অনেকেই এই পরিষেবাকে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমার বাড়ি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। যাতায়াতের খরচ আমার পরিবারের পক্ষে বহন করা কঠিন। এই বিনামূল্যে টোটো পরিষেবা আমার জন্য একটি বড় সাহায্য।”
অন্যদিকে, একজন অভিভাবক বলেন, “এই উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি শুধু শিক্ষার্থীদের সাহায্য করছে না, পরিবারগুলিকেও আর্থিক চাপ থেকে মুক্তি দিচ্ছে।”
