পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। কার্তুজকাণ্ড থেকে শুরু করে জাল ওষুধের কারখানা, এবং চিকিৎসকের ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়ার ঘটনা—এসবই সাধারণ মানুষের মনে আস্থার সংকট তৈরি করেছে। এই প্রতিবেদনে আমরা এই বিষয়গুলিকে বিশদভাবে আলোচনা করব।
কার্তুজকাণ্ড: বাগের বন্দুক দোকান এবং অস্ত্রের অবৈধ চালান
লালবাজারের কাছে শতাব্দী প্রাচীন বন্দুক দোকানটি এবার আবার আলোচনায় এসেছে। এই দোকানটি শুধু গুলি বিক্রি করত না, বরং দুষ্কৃতীদের কাছে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি, বেঙ্গল STF এই দোকানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেছে।
- অভিযানের কারণ: দোকানটি থেকে অস্ত্র অবৈধভাবে বিক্রি এবং দুষ্কৃতীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগ।
- STF-এর ভূমিকা: বেঙ্গল STF এই অভিযানে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করেছে এবং আরও তদন্ত চলছে।
এই ঘটনাটি প্রশ্ন তুলেছে, কিভাবে এত বছর ধরে এই দোকানটি অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে পেরেছে?
নিহত চিকিৎসকের পরিবারের ক্ষোভ
আর জি কর হাসপাতালের এক তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যুর সাত মাস পরেও তাঁর পরিবার ডেথ সার্টিফিকেট পায়নি। এই নিয়ে চিকিৎসকের বাবা-মা প্রশাসনের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
- পরিবারের বক্তব্য: “আমরা শুধু ন্যায়বিচার চাই। আমাদের মেয়ের মৃত্যুর কারণ জানা আমাদের অধিকার।”
- হাসপাতালের পদক্ষেপ: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে চিঠি লিখেছে এবং সোমবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এই ঘটনাটি প্রশাসনিক জটিলতা এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের একটি উদাহরণ।
জাল ওষুধের কারখানা: মারণ ওষুধের ভয়াবহতা
ভবানীপুর থেকে আমতা পর্যন্ত চলমান অভিযানে জাল ওষুধের গোডাউন উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এই জাল ওষুধ তৈরি হচ্ছে কোথায়?
- রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের অভিযান: জাল ওষুধের উৎস এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের তালিকা তৈরি করার চেষ্টা চলছে।
- ধৃত ওষুধ ব্যবসায়ীর জেরা: আমতা থেকে ধৃত এক ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
জাল ওষুধ শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি করে না, এটি সরাসরি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।